৪০ শিক্ষার্থীকে পিটুনি, খবর সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ক্লাসে পাঠ বুঝতে না পারায় শিক্ষক পরিবর্তনের আবেদন করায় সপ্তম শ্রেণির প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে সাংবাদিকদের ওপরও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চুর প্রভাবে গত ৫ আগস্টের পর তার ভাগনে তানভীর হোসেন মুন্নাকে অবৈধভাবে অফিস সহকারী হিসেবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তিনি সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস নিতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা তার পাঠ বুঝতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছে তাকে পরিবর্তনের আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্না লাঠি দিয়ে প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটান। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাসরিম, কেয়া তাবাসসুমসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে এসে বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে শিক্ষকদের উসকানিতে শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার রাকিবুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান, অভিভাবক ওমেদ আলী এবং যমুনা টিভির গাড়িচালক ইকবার হোসেন গুরুতর আহত হন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়দুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের উপর কেন শিক্ষক উত্তেজিত হয়েছেন বুঝতে পারছি না। সাংবাদিকদের ওপর শিক্ষার্থীরা কেন হামলা করেছে, তা আমরা অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করব। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তানভীর হোসেন মুন্না পলাতক রয়েছেন। অভিভাবকরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।