০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:১০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০ হাজার টাকায় মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনা ‘মীমাংসা’

২০ হাজার টাকায় মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনা ‘মীমাংসা’

সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইলে দারুল ফোরকান একাডেমী মাদ্রাসায় ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিচারের নামে দোষীকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দিয়ে ক্ষতিপূরণ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাটির ৩ পরিচালকের বিরুদ্ধে।

বিচার না পেয়ে গত ২৫ আগস্ট ভুক্তভোগীর চাচা গোদনাইল ধনকুন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলো- গোদনাইল ধনকুন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম নাজমুল হক নোমানী, আল ফাতেহ জামে মসজিদের চেয়ারম্যান ঈসমাইল হাতেমী এবং মৃত পিয়ার আলী মেম্বারের ছেলে মো. গোলজার হোসেন। 

অভিযোগে ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ১০ বয়সী ছেলেকে দারুল ফোরকান একাডেমী মাদ্রাসায় হেফজ শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠান। কিন্তু সে ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে চায় না, অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করার কথা বলে। তখন তাকে চাপ দিলে জানায়, সে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা বলাৎকার ও নির্যাতিত হয়েছে। ওই মাদ্রাসাটি নাজমুল হক নোমানী, ঈসমাইল হাতেমি ও অন্যান্য শিক্ষকরা পরিচালনা করে। তাই এ বিষয়ে নাজমুল হক নোমানী সাহেবকে মৌখিকভাবে জানালে তিনি সুষ্ঠু বিচার করবেন এবং এ বিষয়ে কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।

পরে বিচারের নামে নাজমুল হক নোমানী তাদের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রহসনের বিচার করে গত ৭ জুলাই ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে অপরাধী শিক্ষককে কৌশলে এলাকা থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। ক্ষতিপূরণের টাকা ১ সপ্তাহের মধ্যে দেয়ার কথা বললেও তা আজও দেয় নাই। পুরো ঘটনা কাউকে জানাতে চাইলে, আমাদের সবকিছু গোপন রাখতে বলেন নাজমুল হক নোমানী। ক্ষতিপূরণ  চাইতে গেলে গোলজার হোসেন ও তার লোকজন নানাভাবে টালবাহানা, হেনস্থা ও গালিগালাজ করতে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে নাজমুল হক নোমানি প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘আমি ওই প্রতিষ্ঠানের কেউ না। তবে মাঝেমধ্যে ধর্মীয় কাজে ডাকলে আমি মাদ্রাসায় যাই। যে বিচারের কথা বলা হয়েছে তা আমরা না, বাড়িওয়ালা গোলজার সাহেব করেছেন। তবে বিচারের সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম। বিচারে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়, যা ভুক্তভোগীর মা’কে দেয়ার কথা। দেয়া হয়নি কারণ সকলের সন্দেহ ভুক্তভোগীর চাচা ক্ষতিপূরণের টাকা ভুক্তভোগীর বা তার পরিবারকে দিবে না। বলা হয়েছে ভুক্তভোগীর মাকে নিয়ে আসলে টাকা তুলে দেয়া হবে।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়