বন্দর থেকে আলোচিত সোহাগ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের মামলার অন্যতম আসামি মো. নান্নু কাজী (৩৩), কে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ ও ১০ এর একটি যৌথ টিম।
সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) র্যাব-১১ এর মিডিয়া উইং এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রেফতারের পর নান্নু কাজীকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব-১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানায় নান্নু কাজী হত্যা মামলার ৬ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
গত ১০ জুলাই (বুধবার) দুপুরে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েকজন যুবক ব্যবসায়ী সোহাগকে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে তাকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে সোহাগকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের ওপর উঠে লাফানো হয় বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
নিহত সোহাগ পুরনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
সোহাগের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ১৪ বছর বয়সি মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সি ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।