১৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২০:১৬, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ আসনেই মনোনয়ন চাইবেন মামুন মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ আসনেই মনোনয়ন চাইবেন মামুন মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ দু’টি আসনের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। দল তাকে যে আসনে মনোনয়ন দেবে তিনি সেই আসন থেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচন কমিশনারের সীমানা নির্ধারণের পূর্বে আমি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ছিলাম এবং ১৮ সালের নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলাম। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন আমাদের সাজানো রয়েছে। এই আসনে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। সেখানেও যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় এটি নতুন জায়গা হবে না। আবার নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে যেহেতু সিদ্ধিরগঞ্জের অবস্থান, এই সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এখানেও নির্বাচন করতে কোন কষ্ট হবে না।”

সোনারগাঁ উপজেলা নিয়ে মামুন মাহমুদ বলেন, “সোনারগাঁয় আমার বিচরণ ও কর্মক্ষেত্র এবং দীর্ঘদিন যাবৎ আমি জেলার রাজনীতি করছি। ২০০৮ সালে জেলা যুবদলের সভাপতি হয়েছিলাম। ওই সময় সোনারগাঁসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় সংগঠন গড়ে তুলেছি। সেই সকল নেতাকর্মীরা আজ নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। জনগণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের সাথেও আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই সেখানেও আমার নির্বাচন করা কষ্টের হবে না বলে আমি মনে করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে কখনও পিছপা হয়নি, এখনও সে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আশা করি, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য প্রথম থেকেই রাজপথে ছিল। রাজপথ থেকেই দাবি আদায়ের দ্বার প্রান্তে এসেছি। আমরা প্রত্যাশা করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এবং দেশের জনগণ মুক্তভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে কোন কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে না। কোন সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে না। যারা প্রার্থী রয়েছেন আমি সকলকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে চাই, বলয়ের নেতাকর্মীদেরকে সেইভাবেই পরামর্শ দিবেন- যাতে নিজেদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব-কোন্দল সৃষ্টি না হয়। কারণ একটাই দল, একটাই প্রতীক একজনই পাবে। চেষ্টা করবে বহুজন, পাবে কিন্তু একজন। সুতরাং নমিনেশন ঘোষণার পরে আবার আমরা একসঙ্গে সেই প্রতীককে নির্বাচিত করব।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য উকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়