অপারেশন ডেভিল হান্ট: ষষ্ঠ দিনের অভিযানে গ্রেপ্তার ৯
অপারেশন ডেভিল হান্ট’র ষষ্ঠ দিনের অভিযানে জেলার ছয় থানা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন অভিযানে সদর মডেল থানা থেকে একজন, বন্দর থানায় একজন, ফতুল্লা মডেল থানায় তিনজন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একজন, আড়াইহাজার থানা থেকে দুইজন এবং রূপগঞ্জ থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালীন এবং সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত ০৯জন ফ্যাসিস্টদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর মডেল থানায় গ্রেপ্তার একজন হলো- পূর্ব সৈয়দপুর (কড়ইতলা) এলাকার নাজির হোসেন ফকিরের ছেলে রাকিবুল হাসান মিল্টন (৩৮)।
ফতুল্লা থানায় গ্রেপ্তার তিনজন হলো- পূর্ব শাহি মহল্লা এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৫৩), হীরা কমিউনিটি সেন্টার, ধোপাপট্টি, জামতলা এলাকার জাতীয় পার্টি ও পরিবহন শ্রমিক লীগ নেতা হাজী বজলুর রহমান রিপন (হাজী রিপন), একই এলাকার হাজী বজলুর রহমান রিপনের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজ রহমান রাফি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কদমতলী এলাকার মৃত বোলাই হাওলাদারের ছেলে মো. ফজলুল হক (৭৩)।
বন্দর থেকে ১নং ওয়ার্ড কুচিয়া মোড়া এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৫৫)।
রূপগঞ্জ থেকে ৬নং ওয়ার্ড বরালু কায়েতপাড়া এলাকার হাজী আ.রবের ছেলে আব্দুল হাই (৪৭)।
আড়াইহাজার থানায় গ্রেপ্তার দুইজন হলো- ৮নং ওয়ার্ড শিবপুর এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮) ও দাসপাড়া থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো. রাশেদুজ্জামান (৪৮)।
এছাড়া গত সোমবার জেলার সাতটি থানায় স্থাপিত সাতটি চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে ৮১টি যানবহন এবং ২৩৭টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৪টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে এবং ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৬ ডিসেম্বর অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৯ জন, ১৭ ডিসেম্বর ২৬ জন, ১৮ ডিসেম্বর ১৫ জন, ১৯ ডিসেম্বর ১৬ জন এবং ২১ ডিসেম্বর ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।





































