বন্দরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৫, আটক ৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গ্রুপ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশার অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ৫ জনকে আটক করেছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বন্দর থানার লেজারার্স এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
আহতরা হলেন- সাগর (২৮), তার মা লুৎফা বেগম (৫৩), তার বড় ছেলের স্ত্রী মীম (২৯), ছোট ছেলের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৪) এবং অপর পক্ষের অজিত দাস (৪০)।
ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল সাত্তার (৬৫), পলাশ (৪৯), অনিক দাস (২৪), বিপ্লব হোসেন (৩৪) ও হাসিবুল হাসানকে (৩০) আটক করে।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুল সাত্তার ও অজিত দাস বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) পুলিশ আটক পাঁচজনকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
আব্দুল সাত্তারের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর ছেলে সাগর বন্দর লেজারার্স এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার দোকানের মালিক। রোববার রাত ৮টার দিকে অজিত দাসের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত লোক দোকানে হামলা চালিয়ে সাগরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে, দোকান ভাঙচুর করে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন ও নগদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৭০টি গ্যাস সিলিন্ডার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার মা ও দুই পুত্রবধূকেও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়।
অপরদিকে অজিত দাসের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী “ব্ল্যাক জনী” ও যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষরা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেয়। তিনি ভিডিও ধারণ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং তার কাছ থেকে নগদ ২১ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর ১নং খেয়াঘাটের অবৈধ দোকান থেকে চাঁদা ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, “দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”