২৯ মে ২০২৫

প্রকাশিত: ২০:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

আপডেট: ২২:০২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

স্বৈরাচার পতন দিবসে নিরব রাজনৈতিক দলগুলো

স্বৈরাচার পতন দিবসে নিরব রাজনৈতিক দলগুলো

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আজ স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এরমধ্য দিয়ে এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। পরে তিন জোটের রূপরেখায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবং দেশ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে।

কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ সমমনা সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও স্বৈরাচার পতন দিবসে বুধবার কোন রাজনৈতিক দলই কোন কর্মসূচি পালন করেনি। বিশেষ করে বিরোধী শিবিরে অবস্থানকারী বিএনপির কোন তৎপরতা না থাকায় হতবাক সচেতন রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, এমন একটি দিনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কোন কর্মসূচি না থাকাটা বড়ই বেমানান।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন , আমাদের কেন্দ্রীয় ভাবে কোন নির্দেশনা এবং কর্মসূচি না থাকার ফলে আমরা জেলা পর্যায়ে কোনরূপ কর্মসূচি হাতে নেইনি।

সিপিবি জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ দিবস অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সরকারের নানান স্বৈরাচারী আচরণ এবং গণ বিমুখ অবস্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে থাকি । কিছু দিন আগেও অযৌক্তিক ভাবে বিদুৎ এর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা জোট গত ভাবে হরতাল পালন করেছি। ফলে এ দিবস কেন্দ্রিক বিধায় বড় কোন কর্মসূচি আমরা হাতে নেইনি। ঘরোয়া পাঠচক্র এর আয়োজন রয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম নেতা অঞ্জন দাস বলেন, আমাদের সকল আন্দোলন সংগ্রামে গণতন্ত্রের কথা, জনসাধারনের জিম্মি অবস্থার কথা বলিষ্ঠ ভাবে উচ্চারণ করি । ফলে প্রত্যেক আন্দোলন সংগ্রামই আসলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম । তাই আলাদা করে এ দিবস পালনের কথা আমরা ভাবছি না।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। সংসদ বাতিল ও সংবিধান স্থগিত করে নিষিদ্ধ করা হয় সকল ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা। তবে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে গণতন্ত্রকামী মানুষ খুব বেশি দেরি করেনি।

রাজপথে ছড়ায় উত্তাপ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৫ দলীয় জোট। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোটও যোগ দেয় এরশাদ পতনের আন্দোলনে। আন্দোলনে সরব ছিল বাম ৫ দলীয় জোটও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সূচিত আন্দোলন এক সময় উত্তাপ ছড়ায় রাজপথে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠে ছাত্র-জনতা পেশাজীবী পরিষদও। বেড়ে যায় বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যা। ছাত্রনেতা রওফুন বাসুনিয়া, সেলিম, দেলোয়ার, জেহাদ, নূর হোসেন আর ডা: মিলনের আত্মদান স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনকে বেগবান করে। তুমুল আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হয় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়