১১ মাসে নির্যাতনের শিকার ৩৪০ নারী-শিশু
চলতি বছরে ১১ মাস ২৮ দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মোট ৩৪০টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২টি ধর্ষণ, যার মধ্যে দলগত ধর্ষণ ১২টি এবং ধর্ষণের পর ৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের মিশনপাড়া এলাকায় সংগঠনটির জেলা অফিসে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনটির তথ্য মতে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩৪০টি। এর মধ্যে ৬২ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ, দলগত ধর্ষণ ১২ ও ধর্ষণের পর ৮ জনকে হত্যা করা হয়। এছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা ২১টি, শারীরিক ও মনসিক নির্যাতন ১২২টি, নারী ও শিশু হত্যা ৩৪টি, উত্ত্যক্তকরণ ২৭, যৌন নিপীড়ন ২৩, যৌতুকের জন্য নির্যাতন ৩২, হত্যা চেষ্টা ৭ ও ১২টি সাইবারক্রইম এবং উত্ত্যক্তকরণের ঘটনা রয়েছে।
গত বছর জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৩৮৪টি, যা এ বছর কিছুটা কমলেও সামগ্রিক চিত্র এখনো উদ্বেগজনক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, তাদের সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার মোট ঘটনা ৭১৩টি।
বক্তারা বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল নারীর বিষয় নয়, এটি সামাজিক, উন্নয়ন, নাগরিক অধিকার এবং মানবাধিকার- সব ক্ষেত্রেই গভীর সংকট তৈরি করে। সাইবার সহিংসতাসহ সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজকে দাঁড়াতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা ও সক্রিয় উদ্যোগই পারে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার অবসান ঘটাতে। বৈষম্য, অসমতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি রীনা আহমেদ। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদিকা রহিমা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শোভা সাহা, অর্থ সম্পাদক শীলা সরকার, লিগ্যাল এইড সম্পাদক জেসমিন আজিজ আলো, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।





































