৩১ মে ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ২৯ মে ২০২৫

ভোক্তা অধিকার আইন ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ক্যাবের সেমিনার

ভোক্তা অধিকার আইন ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ক্যাবের সেমিনার

‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং বাজার পরিস্থিতি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সেমিনার আয়োজন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ক্যাব নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাজাহার হোসেন মাজুমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইবনুল ইসলাম, ক্যাব নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাজাহার হোসেন মাজুম, সাধারণ সম্পাদক কাজী দলিল উদ্দিন দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন, ক্যাব জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ পাটোয়ারী রাসেল, ক্যাব সদর উপজেলার সভাপতি ডা. গাজী খায়রুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, নিতাইগঞ্জ পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শংকর সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা চাউল আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম লিটন, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান গাফ্ফারী, দিগুবাজার মুদি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ বেকারি মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রুহুল আমিন, সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান আহাদ, ডিম ব্যবসায়ী ফালান মিয়া, আব্দুল হালিম, সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, বি. এম. জালাল উদ্দিন স্কুলের পরিচালক মো. আল মামুন, আদমজী উম্মুল ক্বোরা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাকীম জয়নুল আবেদীন, বিজয় হাই স্কুলের পরিচালক এস. এম. বিজয়, নারী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ক্যাব সদস্য রাহিমা আক্তার লিজা, ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া, ক্যাব সদস্য মো. সফিকুল ইসলাম, ক্যাব সদস্য দিদার এলাহী ইকবাল, নারী কল্যাণ সংস্থার সদস্য জুলী সিকদার।

উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, “নিজে খেতে পারব না এমন খাদ্য তৈরি করব না। আমরা সচেতন হলে ভোক্তারা প্রতারিত হবে না।” তারা আরও বলেন, শুধু জরিমানা নয়, বারবার সতর্ক করার পরও যদি কেউ সংশোধন না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিতে হবে।

তবে তারা দাবি করেন, বাজার ব্যবস্থায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর অনিয়মে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। মিল থেকে এক দামে পণ্য দিয়ে রশিদে ভিন্ন দাম দেখানো হয়—এ রকম উদাহরণ তুলে ধরা হয়।

ভোক্তা অধিকার ও ক্যাব তাদের বক্তব্যে বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য কারও ক্ষতি করা নয়, বরং সচেতনতা তৈরি করা। দোকানদারদের দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা, বিক্রির রশিদ ও বৈধ কাগজপত্র রাখতে হবে।” তারা বলেন, “নকল, ভেজাল, কম ওজন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও পচা খাবার সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।”

সেমিনারে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাঠ্যবইয়ে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও আসে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়