১৩ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:২২, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২০:১৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আড়াইহাজারে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ, আহত ৭

আড়াইহাজারে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ, আহত ৭

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ ঘোষিত 'লকডাউন' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন।

এই ঘটনায় আহতরা হলেন: ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াসউদ্দিন (৪২) হাবিবুল্লাহ মিয়া (৫৫), মো. পিয়ারিম (৪০), আসমা বেগম (৫০), মো. মোবারক (২২), মো. ইব্রাহিম(২৩) ও মো. কামাল হোসেন (৩৪)। 

তাদের মধ্যে মো. গিয়াসউদ্দিন, হাবিবুল্লাহ মিয়া, মো. পিয়ারিম ও  আসমা বেগমকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হামলার শিকার ব্যক্তিরা বিএনপির সমর্থক বলে জানান খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি নেতা মো. জাকারিয়ার সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. শাহ আলমের পুরোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল। ৫ আগস্টের পরও তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। গত মার্চেও মারামারির ঘটনার পর শাহ আলম ও তার অনুসারীরা গ্রামছাড়া ছিলেন।

ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে আওয়ামী লীগ ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাহ আলম তার অর্ধশতাধিক অনুসারীদের নিয়ে গ্রামে হামলা চালায় এবং বিএনপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। পরে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাকারিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচিতে নাশকতা ঠেকাতে তারা রাতভর গ্রামে পাহরায় ছিলেন। ভোরের দিকে বাসায় ফিরে যাবার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

“শাহ আলমের লোকজন টার্গেট করে এ হামলা করছে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তারা ১২টা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে তারা। মাইকে ঘোষণার পর গ্রামবাসী জড়ো হয়ে তাদের ধাওয়া দেয় কিন্তু তারা পালিয়ে যায়।”

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান এ বিএনপি নেতা।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. শাহ আলমের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে, আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, “পুবিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে, আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম ও তার অনুসারীদের হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণের আলামতও মিলেছে। তবে, হামলাকারীদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়