কদমরসুল সেতুর নকশা পরিবর্তনসহ ৩ দাবিতে নাসিক প্রশাসককে স্মারকলিপি

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কাছে তিন দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দাবিগুলো হলো- কদম রসুল সেতুর কাজ চলমান রেখে পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তন, ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেলের সংযোগ স্থাপন, যথাযথ আলোচনার পূর্ব পর্যন্ত খানপুরে কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণ বন্ধ রাখা।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দৈনিক খবরের পাতা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক দীপু, সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ধীমান সাহা জুয়েল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু। এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রতিনিধিদের জানান, তিনটি বিষয়েই ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কদমরসুল সেতুর পশ্চিমাংশের র্যাম্প নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে হলে আশপাশে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, রেলস্টেশন ও বাস-লঞ্চ টার্মিনালের কারণে ভয়াবহ যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হবে। তাই সেতুর নকশা পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া মেট্রোরেল সংযোগকে সময়োপযোগী দাবি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও অবহেলার কারণে এখনও বি-শ্রেণির জেলা হিসেবে রয়েছে। ঢাকার সঙ্গে মেট্রোরেল সংযোগ স্থাপন হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
খানপুর কন্টেইনার পোর্ট প্রসঙ্গে নাগরিক আন্দোলন জানায়, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় ও অস্বচ্ছ প্রকল্প। কারণ, কাছাকাছি পানগাঁওয়ে ইতোমধ্যে একটি আধুনিক কন্টেইনার পোর্ট থাকলেও সেটি পুরোপুরি ব্যবহার করা হয় না। জনবহুল এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প শুধু জনদুর্ভোগই বাড়াবে। তাই যথাযথ আলোচনার পূর্ব পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়।