প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় ও গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও সম্প্রতি প্রকাশিত গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা সভাপতি মুফতি আব্দুল হাকিম আদ-দিফায়ী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল আমিন শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত বিষয়সমূহ হলো- ১. বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে- রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম। সুতরাং আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ২. প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের ভিত্তি। শিশুদের নৈতিকতা ও আদর্শ গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৩. গানের শিক্ষক নিয়োগে উদ্বেগ। সম্প্রতি সরকার কর্তৃক গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গান শেখানো প্রাথমিক শিক্ষার আবশ্যক অংশ হতে পারে না। বরং এটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুকরণ প্রবণতা সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ৪. ধর্মীয় মূল্যবোধ জোরদারকরণ। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় পাঠ্যক্রমকে শক্তিশালী ও বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়।
আইম্মা পরিষদের দাবিসমূহ- দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে। শিশুদের নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা নিশ্চিতে ধর্মীয় পাঠ্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে আলেম সমাজের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা সভাপতি মুফতি আব্দুল হাকিম আদ-দিফায়ী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আশা করি সরকার অবিলম্বে এই ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।”