শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: রোজেল

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, “যেভাবে শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ অদৃশ্য হয়েছিল, তেমনি শেখ হাসিনার পতনের পরেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ শুধু পালাতে জানে, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারে না।”
বুধবার (৪ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, “১৯৭১ সালে যুদ্ধশেষে জিয়াউর রহমান কর্মজীবনে ফিরে গিয়েছিলেন। অথচ শেখ কামালরা তখন রক্ষীবাহিনী দিয়ে লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। তখনও আওয়ামী লীগ নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, কারণ তারা অন্যায় করছিল।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ছিল বলেই খালেদা জিয়া ছিলেন, তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় কর্মীরা মাঠে ছিল। তাই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন, ভারতকে যা দিয়েছেন তা কোনো দিন ভুলবে না। কিন্তু জনগণ খুনি হাসিনাকে থু থু দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের ইতিহাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দলটি শেখ মুজিব প্রতিষ্ঠা করেননি, এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। শেখ মুজিব প্রতারণা করে দলটি দখল করেছিলেন। যুদ্ধের সময় মুজিব কোনো নেতৃত্ব দেননি, যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ শুধু মিথ্যার ওপর ভর করে টিকে আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, সার্টিফিকেট নিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করেছে অস্ত্র ছাড়াই, মানুষ রক্ষার জন্য। আওয়ামী লীগ বারবার ইতিহাস বিকৃতি করে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, “আমরা সতেরো বছর ধরে ভোট দিতে অপেক্ষা করছি। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চাই, যাতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠিত হয় এবং একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।”