ডিআইটি হাটের আকর্ষণ: ৩৬ মনের ‘তুফান’, ২৪ মনের ‘কালা মানিক’

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ধুম বেচাকেনা চলছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের কোরবানির পশুর হাটে। এ হাটের প্রধান আকর্ষণ ‘তুফান’ ও ‘কালা মানিক’ নামে দু’টি বিশালাকৃতির গরু। অস্ট্রেলিয়ান জাতের এ গরু দু’টি ক্রেতাদের নজর কাড়লেও এখনও বিক্রি হয়নি।
বরগুনার আমতলী থেকে ৩৬ মণের ‘তুফান’কে নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মো. মনিরুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে ২৪ মনের ‘কালা মানিক’কে নিয়ে এসেছেন মো. আশরাফুল।
‘তুফান’ এর দাম ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে ব্যাপারী দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের ‘কালা মানিক’ এর দাম ব্যাপারী চাচ্ছেন ৮ লাখ। এখন পর্যন্ত এর দাম ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বলে জানান ব্যাপারী আশরাফুল।
মনিরুল কৃষিকাজের পাশাপাশি নিজ গ্রামে গরু পালন করেন। প্রতিবছরই কোরবানির জন্য হাটে তোলার উদ্দেশ্যে কিছু গরু বড় করে তোলেন। ‘তুফান’ ওই তালিকার একটি।
“আমার অস্ট্রেলিয়ান জাতের দু’টি গরু ছিল। তার মধ্যে একটা তুফান। একেবারে বাছুর বয়স থেকে পালতেছি। এর বয়স হইছে সাড়ে তিন বছর। ভূষি, প্রাকৃতিক ঘাস, খড়ই তুফানের খাবার। মোটাতাজা করতে কোনো ওষুধ আমি ব্যবহার করিনি”, বলেন মনিরুল।
ফতুল্লার এই হাটে এবারই প্রথমবারের মতো এসেছেন মনিরুল। তিনি বলেন, “তুফানের দাম ১২ লাখ টাকা চেয়েছি। ৭ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে। কম দামে গরু বেচা সম্ভব না, একটি গরুর পেছনে দিনে হাজার টাকা খরচ হয়। কোরবানির হাটের আনতে গরুর আলাদাভাবে যত্ন করতে হয়েছে।”
কালো রঙের ‘কালা মানিক’ এর ব্যাপারী আশরাফুল পেশায় একজন চাকুরিজীবী। তুলাল দোকানে কাজ করেন তিনি। একইসাথে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ৪ বছর ধরে ‘কালা মানিক’কে বড় করে তুলেছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ হাটে গরুটিকে তোলেন তিনি।
ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের হাটে ‘তুফান’ ও ‘কালা মানিক’ ছাড়াও বিভিন্ন আকারের গরু ও ছাগল দেখা গেছে। ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। শেষ মুহুর্তে বেচাকেনায় সরগরম হাটটি।
হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত ১৫-১৭শ’ গরু এসেছে হাটে। আরও গরু আসবে। এখন পর্যন্ত তুফান সব থেকে বড় গরু। আগের বছরগুলোতে এ রকম গরুর দাম কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এবার গরুর দাম কিছুটা কম।”
হাটে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।