২১ শহীদ পরিবারে এনসিপির কোরবানির পশু উপহার

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ২১ পরিবারের মাঝে কোরবানির পশু উপহার দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (৬ জুন) নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার শহীদ পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে একটি করে কোরবানির ছাগল উপহার তুলে দেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সুমাইয়া আক্তার, ইরফান ভূঁইয়া, পারভেজ হালদার, তুহিন, আহসান কবির; ফতুল্লার মাবরুর হোসেন রাব্বি, আদিল, পারভেজ; আড়াইহাজারের আরমান মোল্লা, সজল মিয়া; সদর থানার আবু হাসাইন মিজি; বন্দর থানার মো. স্বজন; এবং সোনারগাঁ থানার মো. সাইফুল হাসান দুলাল, ইমরান হাসান, মো. রোমান, ইব্রাহিম, মো. জনি প্রমুখ।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জেলা প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, “আমরা আমাদের সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে ২১ জন শহীদের নামে কোরবানি করব। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শহীদ পরিবারের মাঝে পশু উপহার তুলে দিচ্ছি। শহীদরা আমাদের প্রেরণা। যত বেশি তাদের স্মরণ করব, দেশ ততবেশি সঠিক পথে থাকবে।”
উপহার পেয়ে শহীদ পরিবারের স্বজনরা আবেগাপ্লুত হয়ে এনসিপি নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ তুহিনের স্বজনরা জানান, “ঘটনার দিন তুহিন গাড়ি নিয়ে চিটাগাং রোড গিয়েছিলো। সেখানে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে সে স্পটেই মারা যায়। আজ যারা তাকে স্মরণ করে কোরবানির পশু উপহার দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
শহীদ আহসানুল কবিরের বাবা হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছিলো। ঘটনার দিন হাইওয়ের পাশে একটি মিছিলে সামনে এগিয়ে গেলে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে বুকে আঘাত পেয়ে সে শহীদ হয়। এনসিপির নেতাকর্মীরা আজও তাকে স্মরণ করছে—এটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
শহীদ আদিলের বাবা আবুল কালাম বলেন, “আমার ছেলে ১৯ জুলাই আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। শহীদদের স্বরণে এনসিপির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা চাই—এই শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা হোক।”