ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ব্র্যাকের ‘শিখা’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক সুমন চৌধুরী।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাশফাকুর রহমান, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা তথ্য অফিসার, সহকারী কমিশনার (বিআরটিএ), সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
আয়োজকরা জানান, ব্র্যাকের শিখা প্রকল্পটি নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী জেলায় পরিচালিত হবে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে জানুয়ারি ২০২৯ মেয়াদী এ প্রকল্পের লক্ষ্য লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করা। বিশেষত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, তৈরি পোশাক কারখানা ও অনলাইন প্লাটফর্মে যৌন হয়রানি ও বুলিং প্রতিরোধে কাজ করবে এই প্রকল্প।
প্রকল্পটি ২৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আরএমজি সেক্টর, গণপরিবহন ও স্থানীয় কমিউনিটিতেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে সরকারি কর্মকর্তা, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক ও ব্র্যাকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা শিখা প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নির্যাতনমুক্ত কর্মস্থল গড়ে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের ট্রেইনিং স্পেশালিস্ট নুরুল হক, রোড সেইফটি প্রোগ্রামের ম্যানেজার মোহাম্মদ মঈনুল হোসাইন ও মোহাম্মদ নাজমুল হক। এছাড়াও শিখা প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার ইজাজ আহমেদ চৌধুরী, প্রজেক্ট অফিসার মিজানুর রহমান পারভেজ ও মোদাচ্ছেরুল হক পাভেল, ফিল্ড কমিউনিকেটর নুর ইসলাম এবং কমিউনিটি ভলান্টিয়ারসহ বিভিন্ন এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শিখা প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার ইজাজ আহমেদ চৌধুরী সভাটি সঞ্চালনা করেন।
শিখা প্রকল্পটি নারায়ণগঞ্জ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তৈরি পোশাক কারখানা, গণপরিবহন ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে যৌন হয়রানি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি, প্রতিরোধ ও সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করবে।