নাভানা সিটি হাটে গরু কিনলেই মিলতে পারে “আর ওয়ান ফাইভ” মোটরসাইকেল!

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জের কাশেমপাড়া নাভানা সিটি বালুর মাঠে জমে উঠেছে গবাদিপশুর হাট। অন্যান্য হাট থেকে ব্যতিক্রম এই হাটে ক্রেতাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার—"আর ওয়ান ফাইভ" মোটরসাইকেল।
হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রত্যেক গরু ক্রেতাকে একটি লটারি কুপন দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে ঈদ-পরবর্তী আয়োজনে ভাগ্যবান এক ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কারটি।
নাভানা সিটি হাটের ইজারাদার মো. বাবুল হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ক্রেতাসঙ্কট থাকলেও হাটে গরুর সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে এবং সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তাকর্মী ও ডিজিটাল জালনোট শনাক্তকারী মেশিনসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা এডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, “আমরা খামারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পুরস্কার ঘোষণা করেছি—গরু কিনুন, ‘আর ওয়ান ফাইভ’ মোটরসাইকেল জিতুন।”
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে হাট ঘুরে দেখা যায়, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় আকৃতির গরু নিয়ে হাটে হাজির হয়েছেন খামারিরা।
ফরিদপুর থেকে আসা মো. ইসহাক মোল্লা জানান, তিনি ২২টি গরু এনেছেন এবং মাঝারি গরুর দাম হাঁকছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
সিরাজগঞ্জের খামারি ইসলাম মিয়া বলেন, “পশু পালনে খরচ বেড়েছে। খড়, ভূষি, কুড়া—সবকিছুর দাম প্রায় দ্বিগুণ, অথচ গরুর দাম বাড়েনি।”
ভোলার খামারি সালাম মিয়া জানান, বৈরী আবহাওয়া ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে বড় গরুর ক্রেতারা আসছেন না। ফলে বেচাকেনা কিছুটা কম।
হাট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নদী পথে গরু আনতে গিয়ে কয়েকটি পয়েন্টে খামারিদের সন্ত্রাসীদের দ্বারা জিম্মি করে গরু জোরপূর্বক অন্য হাটে নামাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
তবে হাট ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে এবং ঈদের আমেজে জমে উঠছে বাজার।