জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: মামুন মাহমুদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৪নং ওয়ার্ডে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো।
শনিবার (৩১ মে) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
সভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না—এমন রায় হাইকোর্ট থেকে অধ্যাদেশ জারি করে দেওয়া হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। আজকের ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণরা স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদানের কথা জানেই না। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা আমাদের পোস্টার, ব্যানার ও বক্তব্যে বারবার বলেছি—মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশে ফ্যাসিবাদি শাসন চলেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি, নিরাপদে চলতে পারেনি, জেল-জুলুম-মামলার শিকার হয়েছে। তারপরও আমরা শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছি।”
জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে মামুন মাহমুদ বলেন, “তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, সরাসরি যুদ্ধও করেছেন। এজন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তিনি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ যুক্ত করায় তাকে মৌলবাদী বলা হয়েছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই একটি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে রূপ দিয়েছেন। এ কারণেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর পরও তার দল বিএনপির মাধ্যমে মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আসছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ, সাবেক সহ-সম্পাদক সম্রাট আকবর, যুবদল নেতা ইব্রাহিম, ছাত্রদল নেতা মৃদুল, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুর হোসেন, হাজী শহিদুল্লাহ, হাজী মনির, হাজী পিয়ার আলী, শামীম আল মামুন, মো. ইকবাল, তোফাজ্জল হোসেন, আ. মন্নান, আনোয়ার হোসেন, মহিউদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন, মনির হোসেনসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।