২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি

নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদ বোনাস, বকেয়া বেতন-ভাতা ও মার্চ মাসের পূর্ণ বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শহরের প্রধান সড়কে মিছিল করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জেলার সভাপতি গাজী নূরে আলম, গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক টিইউসি জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোস্তাকিম ও সদস্য আশিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের (বেসিক) বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং সকল বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। কারণ বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে দৈনন্দিন খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে তারা ধারদেনায় দিন কাটাচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, ঈদ শ্রমিকদের জন্য একমাত্র সময়, যখন তারা নতুন জামাকাপড় কেনার ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ পান। কিন্তু অনেক মালিক বেতন-বোনাস নিয়ে টালবাহানা করেন। কেউ নামমাত্র ৫০০-১০০০ টাকা দেন, কেউ আবার কিছুই দেন না। এবার শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্য পরিশোধ করতেই হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের (বেসিক) বেতনের সমান ঈদ বোনাস দিতে হবে, ঈদের সরকারি ছুটি কমপক্ষে ৫ দিন দিতে হবে, ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, বেতন-বোনাস নিয়ে কোনো প্রকার টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না, ডিজিটাল পেপার মিলস ও ফতুল্লা ফ্যাশনের শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।
তারা বলেন, ঈদের শেষ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পরিশোধ করলে শ্রমিকরা কেনাকাটা বা গ্রামে ফেরার প্রস্তুতি নিতে পারেন না। তাই ২০ রমজানের মধ্যেই সব পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। যদি মালিকরা গড়িমসি করেন এবং শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, তাহলে তার দায়দায়িত্ব মালিক ও প্রশাসনকে নিতে হবে।
বিকেএমইএ, বিজিএমইএ ও সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।