রূপগঞ্জে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়কে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল নেতা শান্ত সরকারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়কে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবার ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কের কালনী এলাকায় নিহত শান্ত সরকারের লাশ নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তার পরিবারের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি-যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শান্ত সরকার। নিহত শান্ত সরকার দাউদপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা কহিনুর বেগম, বাবা জসিম সরকার, চাচা সালাউদ্দিন সরকার, মামা শাহীন সরকার, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন আকন্দ, হুমায়ূন কবির মিঠুসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির ফেসবুক লাইভে এসে নেতৃত্ব দেন এক হামলার। তার সঙ্গে ছিল নাঈম ফকির, রানা ফকির, সিয়াম, অলিউল্লাহ, হাবিবুল্লাহ, অনিক ফকির, এনায়েত ফকির, রাজিব, শাহীনসহ একদল সন্ত্রাসী। তারা শান্ত সরকারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সে মারা যায়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। তবে শান্ত সরকার মারা যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত ১২ জন জামিনে বেরিয়ে আসে। পরিবারের অভিযোগ, এখনও মূল আসামি আসাদ ফকিরসহ কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বক্তারা বলেন, “আসামীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত শান্তর লাশ দাফন করা হবে না।” তাঁরা দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান এবং কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সকাল ১১টার দিকে শান্ত সরকারের লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, “মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”