আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে বোদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। এ উপলক্ষে আজ রোববার সরকারি ছুটির দিন পালিত হচ্ছে। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের এ প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে। বিশ্বের সব প্রাণীর মঙ্গল কামনায় বিহারগুলোয় পবিত্র ত্রিপিটক ও ধর্মীয় প্রার্থনা মগ্ন রয়েছেন সাধুরা।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয় দিনটি। এ পূর্ণিমা বৌদ্ধদের সর্বশ্রেষ্ঠ পূর্ণিমা এবং জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব।

বৈশাখ মাসের এ দিনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামানব বুদ্ধের জীবনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ(মৃত্যু) লাভ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ নামে পরিচিত। ধর্মীয় প্রার্থনা ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম ও বিহারে এই দিনে মেলা বসে। সবচেয়ে বড় মেলাটি বসে চট্টগ্রামের বৈদ্যপাড়া গ্রামে যা বোধিদ্রুম মেলা নামে পরিচিত।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়ী চাকমা(২২) প্রতিবেদক কে জানান, বোদ্ধ পুর্নিমা আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহন, সিদ্ধিলাভ ও মহা পরিনির্বান লাভ করেন। সমগ্র বিশ্বেই বোদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন।

জানা যায়, খৃস্ট পূর্ব ৬২৪ অব্দে এ দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের বুদ্ধগয়ায় খৃস্ট পূর্ব ৫৮৯ অব্দে বোধিজ্ঞান লাভ করেন। খৃস্ট পূর্ব ৫৪৪ অব্দে মহাপ্রয়ান করেন ভারতেরই কুশীনগরে। তিনি মানুষের দুঃখ মুক্তির পথ অন্বেষণে ২৯ বছর বয়সেই সংসার ত্যাগ করেন।

বুদ্ধ পূর্ণিমায় পৃথিবীতে বৌদ্ধ ধর্ম নামে নতুন এক ধর্মের জন্ম হয়। এ ধর্মের মূল লক্ষ্য হলো সাম্য, মৈত্রী, করুণা, অহিংসা ও মানবতাবাদ। বৌদ্ধ ধর্মের মৈত্রী ও অহিংসা শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয়, সকল প্রাণীর জন্য উৎসারিত। তাইতো বুদ্ধ প্রত্যয়ী কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।