১২ জুন ২০২৫

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

আপডেট: ১৩:৫১, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

শহরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

শহরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার: সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ শহরে খুব একটা অগ্রগতি হচ্ছে না। শহরের বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনা ঘুরে দেখা যায় রাস্তা-ঘাট, ডোবা-নালা, পুকুর ও নদীতে অপরিকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা।

ফলশ্রুতিতে মানুষের দুর্ভোগ দুর্যোগের রূপ ধারণ করেছে এবং একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। এলাকার মূল রাস্তা ঘেঁষেই ফটকের সামনেই দেখা মিলবে নানা ধরণের ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সিটি করপোরেশনের পর্যাপ্ত ডাস্টবিন এলাকাগুলোতে নেই। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই নগরের প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকায় এভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন স্থানীয় লোকজন।



অভিযোগ আছে, নগরে অপর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কোনো সমন্বিত নজরদারি না থাকায় ময়লা ফেলা চলছে অবাধে। আর পথ চলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শিমরাইল বিদ্যুৎ অফিসের পাশে ফুটপাতের বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই আবর্জনা ফেলছেন।

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে শুরু করে নানা ধরণের বর্জ্য ফেলায় সেগুলো নিয়মিত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই আবর্জনা গড়িয়ে মূল রাস্তায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে।



এলাকার ব্যবসায়ী তাহের হোসেন বলেন, বছরের পর বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এই জায়গাগুলো কখনোই নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। সেই সঙ্গে এ সড়কে নেই কোনো ডাস্টবিনও, যেখানে সবাই ময়লা ফেলবে।

জালকুড়ির বাসিন্দা বাবু বলেন, আগে এখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আবার নতুন করে লিংকরোডের সামনে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। চাষাড়া হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী জামাল বলেন, এখানেই তো ময়লা ফেলে আসছি। এখানে কোন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন নেই বলেই তো রাস্তায় ফেলা হয় আর সকাল হলেই তো সিটি কর্পোরেশনের লোক এসে এসব ময়লা নিয়ে যায়।



সরেজমিনে দেখা গেছে নগরীর হর্কাস মার্কেট, বি.বি রোড গীর্জার সামনে, ২নং রেল গেট, দ্বিগু বাবুর বাজার, র‍্যালি বাগান, চারুকলার মাঠে, কালি বাজারের বিআইডব্লিও অফিসের সামনে, বরফ কল, লিংক রোডের জালকুড়ি, পাঠানটুলি, তাঁতখানা, সোনামিয়া মার্কেট, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, সিমরাইল বিদ্যুৎ অফিসের সামনে, এমপি মার্কেট এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা রাস্তার পাশেই যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন।



এছাড়াও জামতলা থেকে ঈদগাহ্-এর দক্ষিণ পাশের বেশিরভাগ জায়গায়, ডিএনডি খালের রাস্তা জুড়ে। এসব এলাকার সড়কে প্লাস্টিকের বোতল, পরিত্যক্ত পলিথিন, কাগজ, কার্টুন, উচ্ছিষ্ট খাবার, ক্লিনিক্যাল বর্জ্যসহ নানা ধরণের আবর্জনা নানাদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।জামতলার বাসিন্দা হোসেন বলেন, নগরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই, তাই স্থানীয় লোকজন যত্রতত্র ময়লা ফেলছে রাস্তার পাশে। এছাড়া আর কি করবে? ফেলতে তো হবে! বাসায় তো রাখা যাবে না।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহ্তেশামুল হক বলেন, এতে করে কোন সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিদিনের আবর্জনা প্রতিদিন অপসারণ করে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাতদিন কাজ করছে। কোন জায়গার আবর্জনা অপসারণ না করলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিবো।

নারায়ণগঞ্জ শহরে ডাস্টবিন না থাকায় অনেক মানুষ অসচেতনভাবে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাস্তাকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন করে ফেলছে। নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী কম থাকায় নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে পারছে না। এছাড়া সকালে ও রাতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ছোট-বড় কোন প্রকার ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তা থেকেই আবর্জনা অপসারণ করতে হচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়