৩০ জুন ২০২৫

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ৫ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৯:০৫, ৫ নভেম্বর ২০২১

বন্দর ইউপি আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে নিয়ে গণসংযোগে জাহাঙ্গীর-সুফিয়ান

বন্দর ইউপি আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে নিয়ে গণসংযোগে জাহাঙ্গীর-সুফিয়ান

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. মোক্তার হোসেনকে নিয়ে গণসংযোগ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দরা। এ সময় ভোটারদের প্রতি নৌকা প্রতীকের ভোট দিয়ে কাঙ্গিত সেবা নেয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দরা।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর রেললাইন বাজার থেকে কলাবাগ, ঝাউতলা, চৌধুরী বাড়ী, কাজি বাড়ী, মোল্লা বাড়ী, নূরপুর, চিনারদী, বেজেরগাঁও ও বালুরচর এলাকায় গণসংযোগ করে।

গণসংযোগে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুর হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূণ কবির এলিন, আনোয়ার হোসেন আনু, বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শহিদ, কবির হোসেন টিটু, আলমগীর হোসেন, আক্তারুজ্জামান, তুহিন, আসাদ ও মানিক মাহমুদ হাজারো নেতা-কর্মী।

গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী মোক্তার হোসেনকে নৌকা মাঝি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ ভেদাভেদা ভুলে গিয়ে, সকলের প্রচেষ্টায় নৌকা ভোট দিবেন। অবশ্যই যেন নৌকা প্রার্থী জয়ী হয় সে দিকে সকলের সহযোগিতা লাগবে। নৌকা প্রার্থী যদি জয় লাভ করে তাহলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়। নৌকা যদি পাশ করে তাহলে নিজস্ব অর্থায়নে কর্ণফুলী টার্নেল হয়। নৌকা মার্কা যদি পাশ করে তাহলে সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়। নৌকা মার্কা যদি পাশ হয় তাহলে বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের সুনাম পায়। উন্নয়নের সে ধারাবাহিকতায় বজার রাখার জন্য বন্দর ইউনিয়ন সহ সারা দেশের নৌকা প্রার্থীদের জয়ী করাতে হবে। নৌকা প্রর্তীকের মোক্তার হোসেনের পাশে থাকবেন সকলে।

জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে এসেছি শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন জন্য। নেত্রী বলেছেন, যেখানে নৌকা সেখানে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হবেন। শেখ হাসিনার নিদের্শে আমরা নৌকা প্রার্থীর প্রচারণায় করতে এসেছি। আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচনে মোক্তার হোসেনের নৌকা প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করে ফুলের মালা পড়াবো। এই নৌকা দিয়েই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা যদি না থাকতেন তাহলে অনেকে মন্ত্রী এমপি চেয়ারম্যান হয়েছেন, তারা হতেন না। আওয়ামীলীগ জয় বাংলা না থাকতেন তাহলে অনেকে নৌকা প্রতীক পেতেন না। অনেকে এমপি হয়েছেন, অনেক কথা শুনি- যে নৌকা কে নিয়ে কুটূক্তি করেন। আমি তীব্র নিন্দা বলতে চাই, নৌকা যদি না থাকতেন তাহলে আপনার মত লোক এমপি হতেন না। আপনি একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আপনি কিভাবে নৌকাকে কূটূক্তি করে আবার কথা বলেন? এই নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনার বাবা এমপি হয়েছেন, আপনার দাদা এমপি হয়েছেন, আপনার ছোট ভাই এমপি হয়েছেন। এই নৌকা প্রতীক না থাকতেন তাহলে আপনি সেলিম ওসমান এমপি হতে পারতেন না। যারা নৌকা নিয়ে কুটুক্তি করেন তাদের মুখে আমার থুথু মারি। যে কেউ হোক নৌকা নিয়ে কূটূক্তি করবে তার বিরুদ্ধে আমরা বলবোই। সে যদি আমার বড় ভাইও হোক, তাকে ছাড় দিবো না। ৬ দফা মার্কা নৌকা, ১১ দফা মার্কা নৌকা, ৫২ সালের মার্কা নৌকা, ৭০ সালের সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কা নৌকা, ৭১ সালের মার্কা এই নৌকা। এই নৌকা মার্কা যদি থাকতো তাহলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেত না। আজ যদি বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ না করত আপনার মত লোক এমপি হত না। এখন আওয়ামীলীগের আমলে রাজাকার সন্তানরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকা প্রতীক শেখ হাসিনার তাই মোক্তার হোসেন-কে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুণ।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোক্তার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা আজ বন্দরে জনগণের মাঝে। বন্দরে মানুষ নৌকা প্রতীকের ভোট দেয়ার অপেক্ষা করছে। কোন বাধায় জয়কে আটকাতে পারবে না। যারা নৌকা নিয়ে মন্তব্য করেন, বুঝে শুনে করুণ। নৌকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। বন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে কাঙ্গিত উন্নয়ন করতে পারেনি। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত বন্দরবাসী। তাদের সেবা দেয়া জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোয়ন দিয়েছেন। আমি সকলের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়