চেয়ারম্যান মাসুমের নেতৃত্বে ডিবিএল গ্রুপের জমি দখলের অভিযোগ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপ স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম চৌধুরীর নেতৃত্বে ডিবিএল গ্রুপের ৩৩ বিঘা জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিবিএল গ্রুপের মালিক পক্ষ। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মালিক সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন ডিবিএল মালিক কর্র্তৃপক্ষ।
শনিবার (৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের পাওয়ার অব এটর্নি প্রাপ্ত আলহাজ্ব আব্দুল মতিন, ডিবিএল গ্রুপের পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা করিম, আব্দুল মতিনের সহকারী রবি মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমি এবং জিন্নাত নিটওয়্যার লি. (ডিবিএল গ্রুপ) বাংলাদেশ নিট শিল্পের তীর্থস্থান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর রমজান সোনাউল্লা মৌজায় স্থায়ী ভূমির জোতের মালিকগণের কাছ থেকে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দাগ খতিয়ানে সর্বমোট ৩৩ বিঘা জমি ক্রয় করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মেঘনা নদীর পাড়ে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে এখানে বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী ও পরিবেশ বান্ধব নিট কম্পোজিট প্রকল্প গড়ে তুলবো। কিন্তু বিগত জানুয়ারি মাস থেকে এলাকার মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামালের ইন্ধনে স্থানীয় মাসুম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী ঢাকা থেকে আসা জিনাত নিটওয়্যার লি. এর কনসালটেন্টগণ ও ইঞ্জিনিয়ারগণসহ জমির মাপ-জোখ করার সময় আমার ও তাদের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা মারমুখী আচরণ করে এবং আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। এক পর্যায়ে উক্ত চেয়ারম্যান মাসুমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জমির উপর মেঘনা গ্রপের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে আমাদের জমি দখল করে নেয়। আমার যাতে ভবিষ্যতে এই জমিতে প্রবেশ করতে না পারি সেজন্য সার্বক্ষনিক পাহারাদার মোতায়েন করেন তারা। এ ব্যাপারে একাধিকবার পুলিশকে জানালেও কোন সুফল পাওয়া যায় নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের শিল্প বিপ্লবে মেঘনা গ্রুপের অবদান সর্বজন বিদিত। তাই বলে দেশের রপ্তানি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মানে মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামালের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে আক্রমন ও প্রকল্প স্থাপনে বাধাপ্রদান কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আমাদের ৩৩ বিঘা জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। এখানে আমরা বিশ্বের বৃহৎ গ্রীন নিট ইন্ডাষ্ট্রি স্থাপনে আরো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশা রাখি। ফলে আমাদের একটি প্রকল্প থেকেই বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেঘনা গ্রুপ থেকে আমাকে জমি বিক্রির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা বিঘা প্রতি ৬০ লক্ষ টাকা করে দিতে চেয়েছে যদিও ওই জমির দাম বিঘা প্রতি ৫ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমার ওই জমি বিক্রির জন্য কিনি নাই। আমরা আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই।’
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের রপ্তানিমুখী নিট শিল্পের অভিভাবক খ্যাত বিকেএমইএ এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম