মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শেষ সময়ে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের ফুল ব্যবসায়ীরা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপরই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করবে মানুষ। অমর একুশের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত নগরবাসী। অন্যদিকে শ্বাস ফেলার সময় নেই নারায়ণগঞ্জের ফুল ব্যবসায়ীদের। ফুলেল তোড়া তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, শহরের সড়কগুলোর দুই পাশেই ফুল আর ফুল। ফুলের দোকানের পাশাপাশি মৌসুমী ফুল বিক্রেতাদের সংখ্যাও লক্ষণীয়। বাহারি সব ফুল ও তোরা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন সবাই। সব ফুলের দোকানেই ফুলের ছড়াছড়ি। ফুলে ফুলে যেন বর্ণিল সাজে সেজেছে নগরী। অন্যদিকে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ফুলের রিং, তোরা, বুকেট বানাতে ও বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। কেউ ফুলের রিং তৈরির জন্য ককশীট তৈরি করছেন, কেউ ককশীটের ফুল সাঁজাচ্ছেন কেউবা আবার চোট ছোট তোরা তৈরিতে ব্যস্ত।
ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ঢাকার আগারগাও, শাহাবাগ ছাড়াও ফুল এসেছে নারায়ণগঞ্জের সাবদী এলাকা থেকে। ফুলের রিং, তোড়া তৈরিতে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিপশি, চেরিসহ মোট ২০ ধরণের ফুল ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা আরো জানান, শ্রদ্ধার জন্য ৪ থেকে ৫ ধরণের ফুলের রিং তৈরি ও বিক্রি করা হচ্ছে। যার মূল্য ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে তোড়া ও বুকে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে এবং ফুলকপি তোড়া ৫০ থেকে ১০ টাকার মধ্যে।
দুই ছেলে মেয়ের আবদারে এই প্রথম ফুল কিনতে এসেছেন চাকরিজীবী মো. আক্তার হোসেন। ১০০ টাকার দুটি তোড়াও কিনে নিয়েছেন। তার দেখাদেখি তার বন্ধুও তার ছোট্ট ছেলের জন্য কিনেছেন একটি তোড়া। তারা বলেন, ‘আমরা কখনো ফুল কিনতে আসি না। তাই এদিনে ফুলের দাম কেমন থাকে আমাদের জানা নেই। এই প্রথম সন্তানদের আবদারে এসেছি। তারা সকালে স্কুলের সবার সঙ্গে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবে। কোনো রকম দামাদামি করে ফুল কিনলাম। দাম মোটামোটি ভালোই।’
নগরীর কালির বাজার এলাকার মিম জরি হাউজের ফুল ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের তুলনায় আজ ফুল পাইকারীভাবেই আমরা বেশি দামে কিনেছি। তবে সে অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। মোটামোটিভাবে বিক্রি হচ্ছে। লাভ, ক্ষতির বিষয়টি এখন বলতে পারছি না। আগামীকাল বিক্রির পর বুঝতে পারবো ব্যবসা কেমন হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীত পাশে অবস্থিত অর্কিড পুষ্প কেন্দ্রের মালিক বংশী পাল বলেন, ‘কিছু ক্রেতা আগে অর্ডার করেছেন, অনেকে আবার কাল সকালে কিনে নিবেন। সবচেয়ে বেশি অর্ডার ফুলের রিংয়ের জন্য। প্রায় ২৫টি অর্ডার আমরা পেয়েছি। এছাড়া টুকটাক ছোট তোরা বিক্রি হয়েছে, হচ্ছে।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম