১৬ জুন ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৬ মে ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে পায়েল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

সিদ্ধিরগঞ্জে পায়েল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেকপাড় এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল এলাকা থেকে শুরু হয়ে কদমতলী, নাভানা ভূঁইয়া সিটি হয়ে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ভাঙ্গারপুল এলাকায় এসে শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত কিশোর পায়েলের বাবা শামীম খান, ফুফু পিংকি বেগম এবং বড়বোন সোহানা।

পায়েলের বাবা শামীম খান বলেন, “আমি আমার ছেলে আব্দুল্লাহ খান পায়েলের হত্যার বিচার চাই। এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আজ আমার কোল খালি হয়েছে, কাল যেন আর কারো না হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”

পায়েলের ফুফু পিংকি বেগম বলেন, “আমরা চাই ডিএনডি লেকপাড় পুরোপুরি নিরাপদ হোক। সন্ধ্যার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেন স্বচ্ছন্দে হাঁটতে পারে। এই লেকপাড়ে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসেবন, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। লাইট বন্ধ থাকায় অন্ধকারে অপরাধ আরও বাড়ছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “লেকপাড়ের একটি দোকান, যা ‘চাচার দোকান’ নামে পরিচিত, সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত মাদক কিনে সেবন করছে। আমরা চাই না এই দোকানটি এখানে থাকুক।”

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় দুই কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত হয় কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েল (২৩)। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শামীম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে মো. হৃদয় ওরফে পাইটু হৃদয়, মো. হৃদয়, মো. সাব্বির, আল-আমিন ও মো. জাহিদ কে আটক করেছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়