২৬ জুন ২০২৫

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আপডেট: ১৯:৩৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মোনালিসা ধর্ষণ ও হত্যা, অভিযুক্ত সাঈদ দুবাই থেকে ফতুল্লা থানায়

মোনালিসা ধর্ষণ ও হত্যা, অভিযুক্ত সাঈদ দুবাই থেকে ফতুল্লা থানায়

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী মোনালিসা আক্তার মুনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী আবু সাঈদকে (২২) সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আটকের পর দেশে আনা হয়েছে। বিমানবন্দরে সকল প্রক্রিয়া শেষে সাঈদকে ফতুল্লা মডেল থানায় আনা হয়েছে।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবু সাঈদকে দেশে নিয়ে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের।

আসামী প্রবাসী আবু সাঈদ ফতুল্লা পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে। ঘটনার পরদিন ভোরে দুবাই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সাঈদ।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামী আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে রোববার তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর আইনি কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রী মোনালিসা (১২)’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উক্ত এলাকার শাহিন বেপারীর মেয়ে এবং কাশিপুর উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

ঘটনার দিন মোনালিসা ও তার ছোট ভাই সাহেদকে বাড়িতে রেখে সকালে বাবা শাহিন বেপারী স্ত্রীকে নিয়ে নরসিংদী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোনালিসার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন ।

শাহিন বেপারী জানিয়েছিলেন, বিকেলে তার বাড়ির ভাড়াটিয়া তাকে ফোন করে জানান- অজ্ঞাত এক যুবক তার ঘরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে যায়। পরে মোনালিসার ছোট ভাইয়ের ডাক-চিৎকারে এসে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ঘরে প্রবেশ করে ওই ভাড়াটিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে ওড়না কেটে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে মোনালিসাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মোনালিসার ছোট ভাই শাহেদ জানিয়েছিল, ঘটনার দিন বিকেলে পানি পান করার কথা বলে ঘরে ঢুকে একই এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে সাঈদ। পরে কৌশলে শাহেদকে খেলতে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সন্ধায় শাহেদ বাসায় ফিরে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সাথে ঝুলছে।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোনালিসাদের পাশের বাড়িতেই থাকে সাঈদ। কয়েক বছর আগে মোনালিসা মুনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মুনার বাবা মা। পরে সাঈদ পাশের মহল্লার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। পরে ২ ফেব্রয়ারী মোনালিসাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে ব্যাপারটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ফ্যানের সাথে ঝুঁলিয়ে পালিয়ে যায় আবু সাইদ।

তবে ঘটনার দিনই আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছিলো তার পরিবার। বিয়ে করার জন্য সাঈদ ঘটনার তিন মাস আগে দেশে আসেন। অগ্রিম রিটার্ন টিকেট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়