১৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

আমি গণমানুষের নেতা হতে চাই: মাসুদুজ্জামান

আমি গণমানুষের নেতা হতে চাই: মাসুদুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, “জাতীয়তাবাদী দল গত নভেম্বর আমাকে পাঁচ আসনের প্রাথমিক নমিনেশন প্রদান করেন। এই প্রাথমিক কথাটাকে বিতর্ক সৃষ্টি করানোর জন্য কিছু কিছু লোকজন বিভিন্ন রকমের কথা বলছেন। এটা নাকি চূড়ান্ত নয়। মহাসচিব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব স্পষ্টভাবেই বলেছেন যাদেরকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘোষণা না দেওয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এরাই চূড়ান্ত। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে শক্তিশালী করুন এবং যেই আসনে যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষে কাজ করুন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে প্রার্থী মনোনীত করায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাসুদুজ্জামান মাসুদ এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল চারটায় খানপুর হাসপাতাল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মণ্ডলপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়। প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী গণমিছিলে অংশগ্রহণ করে। 

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, পাঁচ আসনে বিভিন্নভাবে আমরা বিভিন্ন অপচেষ্টার সম্মুখীন হচ্ছি। তারপরও আজকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে পাঁচ আসনে মনোনীত আমরাই। আমি মানি আপনারা। আমি বিশ্বাস করি, আমার কন্ঠ মানে আপনাদের, পাঁচ আসনের কন্ঠ। আমি আপনাদের হয়ে গণমানুষের নেতা হতে চাই। 

ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে কাজ করি। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনই যাতে দলকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে উপহার দিতে পারি। অতীতে এই ধরনের ইতিহাস আমাদের আছে। এই সমাবেশে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভ্রাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃবৃন্দ যারা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। আমাদের পাঁচ আসনের জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, নারায়ণগঞ্জের মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা। আশা করি, জনগণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হবো। আমরা আশাবাদী মানুষ, আশা নিয়েই বেঁচে থাকি; পিছনে তাকানোর মানুষ না। ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। 

সমাবেশের জন্য সৃষ্ট যানজটের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন, “যানটের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী শহরের নাগরিকদের কাছে। আমরা ভবিষ্যতে বড় সমাবেশকে কিভাবে শহরের বাইরে করা যায় সে চিন্তা করব।” 

গণমিছিলে অংশ নেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, সাবেক যুবদল সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন সরদার, মহানগর বিএনপির সদস্য বিল্লাল হোসেন, ফারুক আহমেদ, এডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মনোয়ার হোসেন শোখন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, কৃষক দলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন, যুবদল নেতা সরকার আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়