খানপুর হাসপাতাল ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র: তরিকুল সুজন
নারায়ণগঞ্জ গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দল খানপুর হাসপাতালের পরিবেশ ও ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংগঠনের জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে পরিদর্শন দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী মো. বিপ্লব খান, জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, বর্তমান সভাপতি সাইদুর রহমান, সহ-সভাপতি তাইরান আবাবিল রোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মৃধা প্রমুখ।
তরিকুল সুজন বলেন, “খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ হই। হাসপাতালের পেছনের অংশে বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। সেসব জায়গা থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ানক দুর্গন্ধ। জমে থাকা পানি পরিণত হয়েছে ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্রে। হাসপাতালের ভেতরের ড্রেনগুলোর স্ল্যাব ভেঙে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে; সেখানে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু মশা। এমনকি পেছনের রাস্তাটিও ভাঙা, তাতেও জমে আছে পানি।”
তিনি আরও বলেন, “এরপর আমরা ডেঙ্গু আক্রান্তদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করি। ভর্তি রোগীরা নানা অসুবিধার কথা জানান। দেখা যায়, কেউই মশারি ব্যবহার করছেন না—কারণ ওয়ার্ডে প্রচণ্ড গরম। গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই নিজস্ব ফ্যান ব্যবহার করছেন। ওয়ার্ডের বৈদ্যুতিক লাইন ঠিকভাবে কাজ করছে না; কিছু বেডের ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের টিকিট কেটে সিবিসি টেস্ট করাতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় এবং নানান ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সব মিলিয়ে চিকিৎসা সেবায় রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট।”
তরিকুল সুজন জানান, এসব অভিযোগ নিয়ে তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশারের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিজের দায় অস্বীকার করে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তোলেন। তবে তিনি প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন, অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।





































