ফতুল্লায় পুলিশ পরিচয়ে যুবককে তুলে এনে নির্যাতনের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুলিশ পরিচয়ে পাবনার সিরাজগঞ্জ থেকে এক যুবককে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যুবক আলমগীর হোসেন সালমান (২৪) ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার হাজি আলাউদ্দিনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। প্রায় ১৫-২০ দিন আগে তিনি চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে চলে যান।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত ২৬ জুলাই সকাল ৮টার দিকে ৮-১০ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে সালমানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে সালমানের বড় বোন নুরুন্নাহার বেগমের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই সময় সালমানের কান্না ও মারধরের আওয়াজ ফোনে শোনানো হয়। এরপর নুরুন্নাহার বেগম ফতুল্লা থানাসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে খবর পেয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালমানকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধার হওয়া সালমান জানান, ‘হাজি আলাউদ্দিনের ছেলে সুমন আমাকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা তুলতে পাঠিয়েছিল। আমি ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তুলে গ্রামে চলে যাই। এরপর ২৬ জুলাই সুমন ৮-১০ জন লোক পাঠিয়ে আমাকে পুলিশ পরিচয়ে ধরে এনে কুতুবআইলে হাত-পা বেঁধে তিনদিন ধরে নির্যাতন করে।’
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সালমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সুমনের পক্ষ থেকেও থানায় সালমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ আইন হাতে তুলে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আটক রেখে নির্যাতন করতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’





































