বন্দরে ইসলামী আন্দোলনের নেতার উপর হামলা

বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের ইসলামী আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামের (৩৮) উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদের ভাগিনা পনিরসহ ৬ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার সাইফুল ইসলাম পনির ভূঁইয়ার ছেলে মুকুট ভূঁইয়া (২০), একই এলাকার সাব্বির (১৮), আক্তার মিয়ার ছেলে মিরাজ (১৮), তার ভাই মিনহাজ (১৮), ইজাজ (১৯), বিজয় (১৭) ও আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে পনির ভূঁইয়া (৫০)।
জানাগেছে, বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকায় বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল সুলতান আহমেদের নাতি মুকুট মাদক বিক্রি ও ইভটেজিংসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। এরই প্রতিবাদের জের ধরে গত ১৭ জুলাই জুম্মান নামে এক কিশোরকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে বন্দর ২২নং ওয়ার্ড ইসলামী আন্দোলনের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে জানালে সে নিজে বাদী হয়ে মুকুটগংদের আসামী করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বন্দর খেয়াঘাট যুবরাজ মার্কেটের সামনে মুকুটসহ ৮-১০ জনের একটি বাহিনী থানায় অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলামকে একা পেয়ে ধারালো চাপাতি ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। আহত সাইফুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
দলীয় কর্মীর আহতের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে বন্দর থানায় ছুটে যান মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহসহ দলীয় দায়িত্বশীলগণ। মুফতি মাসুম বিল্লাহ বন্দরে পুনরায় কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একের পর এক আমাদের কর্মীদের উপর হামলা এটা মেনে নেয়া যায় না। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে যদি কোন কাল বিলম্ব হয় তাহলে সেটা কখনোই তৌহিদি জনতা মেনে নিবে না।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।